কোরিয়ান স্কিন কেয়ার স্টেপস | ৭টি ধাপেই পান সুন্দর ত্বক

 
কোরিয়ান মেয়েদের কথা মনে আসতেই চোখে যেন ভেসে ওঠে হেলদি, রেডিয়েন্ট, পোরলেস আর ডিউয়ি টাইপ স্কিনের একটা মুখাবয়ব। সৌন্দর্য সচেতনতা আর স্টেপ ওয়াইজ স্কিন কেয়ার রুটিনের মাধ্যমে তারা অলরেডি বিউটি ওয়ার্ল্ডে জনপ্রিয়। তাদের প্রোডাক্টের থেকে শুরু করে স্কিন কেয়ার ওয়ে এবং লাইফ-স্টাইল সবকিছুই ইউনিক। কে-বিউটি বা কোরিয়ান বিউটি ট্রেন্ড কিন্তু এখন সারা পৃথিবীতে রাজত্ব করছে। আমাদের সবার আগ্রহও তাই কোরিয়ান স্কিন কেয়ার স্টেপস নিয়ে। চলুন জেনে নেই তবে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার সম্পর্কে!
 
কোরিয়ান স্কিন কেয়ার স্টেপস ৭টি
কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিনকে যদি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নিয়ে আসা যায়, তাহলে কেমন হয় বলুন তো? এটা ঠিক যে, আবহাওয়ার ধরন আলাদা হওয়ায় তাদের বিউটি রুটিনের সব স্টেপস আমরা পুরোপুরি মেইনটেন করতে পারবো না। খুব সিম্পলভাবে কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করে কিভাবে বাড়িতে বসে আপনি ত্বকের যত্ন নেবেন এবার তাই জানবো।
 
 
১) ক্লেনজিং
কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিনে প্রথম ধাপ হচ্ছে অয়েল এবং ফোম ক্লেনজারের মাধ্যমে স্কিনকে প্রোপারলি ক্লিন করা। ডাবল ক্লেনজিং-এ অয়েল বেইজড ক্লেনজার ত্বকের সিবাম আর পল্যুটেন্ট ক্লিন করে আর ফোম ক্লেনজার ডার্ট রিমুভ করে স্কিনকে পরিষ্কার রাখে। বিভিন্ন কোরিয়ান ব্র্যান্ডের স্কিন কেয়ার রেঞ্জে আপনি তাদের ফোম ও অয়েল বেইজড ক্লেনজার পাবেন। সময় নিয়ে আলতো হাতে নিচে থেকে উপরে ম্যাসাজ করুন। এরপর একটা পাতলা কাপড় উষ্ণ গরম পানিতে ডুবিয়ে সেটি দিয়ে মুখটা মুছে নিন।
 
 
২) এক্সফোলিয়েট
কোরিয়ান স্কিন কেয়ারের ২য় ধাপ এক্সফোলিয়েট
 
কোরিয়ান স্কিন কেয়ারে এক্সফোলিয়েট হিসাবে ব্ল্যাক সুগার ব্যবহারের কথা অনেকেই জানেন। এক্সফোলিয়েট ব্ল্যাকহেডস রিমুভ করে, স্কিনকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে চকচকে ভাব আনে। ফেসিয়াল ম্যাসাজে হাতের মুভমেন্টও গুরুত্বপূর্ণ। বেশী ঘষাঘষি করা যাবে না। সারকুলার ওয়েতে আঙ্গুল দিয়ে অ্যাপ্লাই করুন, ব্ল্যাক সুগার যখন মেল্ট হয়ে যাবে, পর্যাপ্ত পানি দিয়ে মুখে ঝাপটা দিন এবং ধুয়ে ফেলুন।
 
৩) টোনিং
স্কিন কেয়ারের যেই পার্টটা আমরা অনেকেই স্কিপ করি সেটা হচ্ছে টোনিং। কোরিয়ানরা তাদের টোনারে বিভিন্ন উপাদান মিলিয়ে দেয় যেটা ত্বকের স্পেসিফিক প্রবলেমকে ডিল করে। উপাদানটি হতে পারে বোটানিক ইনগ্রিডিয়েন্স, হায়ালুরনিক এসিড, মিল্ক কিংবা টি-ট্রি এলিমেন্ট। টোনার আপনার ত্বকের পি এইচ ব্যালেন্স ধরে রাখ, রাফনেস রিপেয়ার করে আর স্কিনকে টাইট রাখে। তাই, হেলদি আর রেডিয়েন্ট স্কিন পেতে টোনিং করা অবশ্যই দরকার। কটোন প্যাড দিয়ে টোনার ভালোভাবে মুখে অ্যাপ্লাই করে নেবেন। এইতো হয়ে গেল টোনিং পার্ট!
 
৪) অ্যাসেন্স অ্যাপ্লাই
“অ্যাসেন্স! সেটা আবার কী???” জানি, এটাই চিন্তা করছেন অনেকে। কোরিয়ান স্কিন কেয়ারের একটি ধাপ হচ্ছে অ্যাসেন্স অ্যাপ্লাই করা। এটা আপনার কাছে নতুন লাগতে পারে, কিন্তু অ্যাসেন্স অ্যাপ্লাই কোরিয়ান স্কিন কেয়ারের বেসিক একটা পার্ট। ডিউয়ি আর সফট স্কিনের জন্য বিভিন্ন কোরিয়ান ব্র্যান্ডের স্কিন কেয়ার রেঞ্জ থেকে আপনাকে এই প্রোডাক্টটি বেছে নিতে হবে। কিন্তু কী আছে এই অ্যাসেন্সে? সাধারণত অ্যাসেন্স তৈরি হয় বিভিন্ন হারবাল/প্লান্ট এক্সট্র্যাক্ট আর ফারমেন্টেড কম্পোনেন্ট দিয়ে যেটা ত্বককে ভেতর থেকে রিপেয়ার করে আর হেলদি গ্লো দেয়। দুই-তিন ফোটা অ্যাসেন্স নিয়ে আপনার ফেইসে অ্যাপ্লাই করুন আর হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। ব্যস! হয়ে গেল আপনার অ্যাসেন্স অ্যাপ্লাই করা!
 
৫) শীট মাস্ক অ্যাপ্লাই
কোরিয়ান স্কিন কেয়ারের ৫ম ধাপ শীট মাস্ক অ্যাপ্লাই –
কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিনে শীট মাস্ক অ্যাসেনশিয়াল একটা পার্ট। বেরি, মধু, অ্যালোভেরা, টমেটো, গ্রিন টি আরও কত উপাদান তারা যোগ করেছে শীট মাস্কের কালেকশনে! এক কথায় বলতে গেলে শিট মাস্ক হচ্ছে প্যাকেটজাত ফেসিয়াল মাস্ক। আগে থেকে এটা প্রিপেয়ার করা থাকে মানে একটি প্যাকেটে অ্যাসেন্স অথবা সিরামে ভেজানো একটি মাস্ক থাকে। মাস্কটি মুখে লাগিয়ে রেখে ১৫-২০ মিনিট পরে সিরাম স্কিনে শুষে নিলে মাস্কটি তুলে ফেলে দিতে হয়। কিন্তু এরপর মুখ ধোয়ার প্রয়োজন নেই। বিভিন্ন শীট মাস্কের প্রোপার্টিজ আলাদা, তাদের ভেরিয়েন্ট শীট মাস্কের কালেকশন থেকে আপনার স্কিন অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন। আপনি যদি হন কর্মজীবী নারী অথবা ইউনিভার্সিটি/কলেজ পড়ুয়া, তাহলে তো এটা আপনার বিজি লাইফের ইজি সল্যুশন হয়ে যাবে!
 
৬) ময়েশ্চারাইজিং
কোরিয়ান স্কিন কেয়ারে ময়েশ্চারাইজার মানেই কিন্তু জাস্ট একটা সাদা ক্রিমের বক্স নয়। শুদিং জেল, ওভার-নাইট মাস্ক, অ্যালোভেরা, ক্রিম, ভিটামিন-ই সহ আরো কত কী আছে ওদের ঝুলিতে। প্রোপার ময়েশ্চারাইজারের মাধ্যমে আগের স্টেপের লেয়ারগুলো সিল হয়ে যায় এবং এতে আপনার ত্বক হায়েস্ট বেনিফিট পাবে। ময়েশ্চারাইজিং-এর গুরুত্ব আমরা সবাই কম বেশি জানি কিন্তু কোরিয়ান ময়েশ্চারাইজারে আছে এক্সট্রা কিছু। যেমন- টমেটো, গ্রেপ, স্নেইলের এক্সট্রাক্ট যেটা অবশ্যই আপনার স্কিনকে পুষ্টি যোগাবে আর পোর মিনিমাইজ করে স্মুদ করবে।
 
৭) প্রোটেকটিং
কোরিয়ান স্কিন কেয়ারের ৭ম ধাপ সানস্ক্রিন ব্যবহার –
স্কিন কেয়ারতো করলেন, এবার রোদ থেকে স্কিনকে রক্ষা করার পালা। ফিজিক্যাল আর কেমিক্যাল- দুই ধরনের সানস্ক্রিনের কালেকশন আছে তাদের। ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন সাধারণত মিনারেল-বেইজড যেটা স্কিনে সাদা লেয়ার ক্রিয়েট করে। কেমিক্যাল সানস্ক্রিন দ্রুত স্কিন বসে যায় এবং স্কিনকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে প্রোটেক্ট করে। তাদের অনেক সানস্ক্রিনে ময়েশ্চারাইজিং প্রোপার্টিজ আছে। আপনি কখনই চাইবেন না রোদে আপনার স্কিন কালচে হয়ে যাক বা ফাইন লাইন পরুক। তাই, বাসা থেকে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।
 
এই হচ্ছে কোরিয়ানদের ইয়াং-লুকিং আর চকচকে স্কিনের রহস্য। তাদের স্কিন কেয়ার রুটিনে আরও কিছু স্টেপস আছে যেটা আমাদের দেশের ওয়েদারের সাথে মানানসই নয় বলে স্কিপ করেছি। এখন প্রশ্ন হলো কোথায় পাবো অরিজিনাল কোরিয়ান স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট?  www.e-mart.com.bd  এতে আছে কোরিয়ার নাম করা ব্র্যান্ডের বিভিন্ন কালেকশন। আপনি অনলাইনে অথেনকটিক স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট কিনতে পারেন www.e-mart.com.bd থেকে। তাছাড়া, eMart-Bangladesh এ নিজে গিয়েও কিনতে পারেন, যা Shop-31,3rd floor,Tropical Shopping mall,Elephant Road,Bata Signal,Dhaka-1205 অবস্থিত। আজ এ পর্যন্তই। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন!

ত্বকের যত্নে কোরিয়ান কসমেটিক্স

স্নিগ্ধ ত্বক কে না চায়। কিন্তু এমন ত্বকের জন্য যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ‘ত্বকের যত্ন’ কি বিলাসিতা না বাধ্যতামূলক, তা নিয় ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থাকলেও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সুস্থ ত্বক যে নিজেকে পরিপাটি রাখার সবচেয়ে কার্যকরী পন্থা, তা বোধ হয় কমবেশি সবাই মানি। নারী তো বটেই সুস্থ ত্বকের পুরুষও যে সব পরিবেশে তার উজ্বলতা ছড়ায়, তা তো নতুন করে বলবার নয়। আর ত্বক যদি হয় কোরিয়ান তারকাদের মতো তারুণ্যময়, সতেজ, মসৃণ তাহলে তো আর কথা নেই।

স্বচ্ছ ত্বকের প্রতীক হিসেবে বিশ্বব্যাপী কোরিয়ান ত্বক চর্চার কৌশল আর কোরিয়ান প্রসাধনীর ভীষণ কদর। পশ্চিমের সৌন্দর্য-বিশেষজ্ঞ আর সৌন্দর্য-উৎসাহীরা যাকে ‘কে-বিউটির হাওয়া’ বলে সম্বোধন করছেন, সেই হাওয়ার ছোঁয়া এবার এই বাংলাদেশে।
ত্বকের গঠন ও ধরণ বুঝে, প্রাকৃতিক উপাদানকে প্রযুক্তির ব্যবহারে ত্বকের গভীরে পৌঁছে দিয়ে, ‘ভেতর থেকে ত্বক চর্চা’- এই হলো কে-বিউটির মূল ধারণা। বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিন নিয়ে স্পষ্ট একটি ধারণার আলোকপাত করতে এই আয়োজন।
কোরিয়ান স্কিন কেয়ার রুটিন
ব্যক্তি ভেদে ত্বকের ধরণ আর প্রয়োজনীয়তার ভিন্নতার কথা মাথায় রেখে হরেক রকমের ত্বক চর্চার পণ্য রয়েছে কে-বিউটির ঝুড়িতে। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী, ত্বকের সাথে মানিয়ে যায় এমন পণ্যের সমন্বয়ে একেক জন একেক ভাবে ত্বক চর্চার রুটিন বেঁধে নেন।

শুধু পণ্যের ফর্মুলা বা উপকরণ নয়, কোরিয়ান স্কিনকেয়ার রুটিন এর ধাপ গুলোও ত্বক-বিজ্ঞানের আলোকে সাজানো। মোটামুটি চার ধাপের এই স্কিন কেয়ার রুটিনের প্রথম ধাপ (স্টেপ জিরো) হলো ‘এক্সফোলিয়েশন’।
স্টেপ জিরো: ‘এক্সফোলিয়েশন’ দিয়ে ত্বক চর্চার শুরু নয়,বরং এটি হলো ত্বক চর্চার প্রস্তুতিমূলক ধাপ। ত্বকের উপরে প্রাণহীন চামড়ার স্তরকে পরিষ্কার করে ত্বককে চর্চার উপযোগী করে তোলা হলো এই ধাপের মূল উদ্দেশ্য। প্রতি ৪ থেকে ৬ সপ্তান্তর আমাদের ত্বক চক্রে পূর্ণতার ফল হিসেবে এই প্রাণহীন চামড়ার স্তর তৈরি হয়, যা ত্বক চর্চায় ব্যবহৃত কার্যকরী উপাদান গুলোকে ত্বকের যথাযথ যত্ন নিতে বাধা দেয়।
বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে এই এক্সফোলিয়েশন করানো হয়ে থাকলেও কসমেটিক প্রযুক্তির কল্যাণে এখন ঘরে বসেই প্রাকৃতিক উপাদানের সমন্বয়ে তৈরি, কার্যকরী এক্সফলিয়েটর এর ব্যবহারে খুব সহজে করা যায় এক্সফোলিয়েশন। ব্যক্তি ভেদে ত্বক চক্রের পূর্ণতার সময়গত ফাঁরাক যেহেতু রয়েছে, সেই অনুযায়ী ৪ থেকে ৬ সপ্তান্তর করে নিতে হয় এক্সফোলিয়েশন। অনেকে স্ক্র্যাব জাতীয় পণ্যের ব্যবহারেও এক্সফোলিয়েশন করে থাকেন। তবে বেশির ভাগ স্ক্র্যাবই ত্বকের উপর রূঢ়ভাবে কাজ করে; এতে এক্সফোলিয়েশনের যথাযথ ফল যেমন পাওয়া যায় না, অন্যদিকে বেশিরভাগ স্ক্র্যাব এ ব্যবহৃত মিহি প্লাস্টিকের কণাগুলি পরিবেশের জন্যে ও ক্ষতির কারণ। সেই জন্যে, নিরাপদ পরিবেশ আর ত্বকের কথা মাথায় রেখে ‘গোমাজে পিলিং’ থেকে ‘ফ্রুট অ্যাসিড’ এর মতো নানা কৌশলের হোম কেয়ার এক্সফলিয়েটর রয়েছে কে-বিউটির ঝুঁড়িতে।
স্টেপ ওয়ান: এক্সফোলিয়েশন এর পর যখন ত্বক পুরোপুরি তৈরি, ক্লিনজিং দিয়ে ত্বক চর্চার শুরু। ক্লিনজিংয়ের গুরুত্ব বোধ হয় কোরিয়ান ত্বক চর্চার রুটিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কোরিয়ান ত্বক বিশেষজ্ঞের ভাষায় ত্বকে কিছু লাগানোর চেয়ে পরিষ্কার করাটা বেশি জরুরি। বিশেষ করে যারা ত্বকে মেকআপ বা অন্য স্কিন কেয়ার পণ্য লাগিয়ে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে ত্বকের উপরে থাকা লোমকূপ অবরুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। সেই সাথে পরিবেশ-দূষণের প্রভাব তো ত্বকে সরাসরি পড়ছেই। সব মিলিয়ে ত্বকের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে ক্লিনজিং এর উপর এতো গুরুত্ব দেয়া।

ত্বক ও স্কিনকেয়ার রুটিনের ধরণ ও প্রয়োজনীয়তা বুঝে উপযুক্ত কার্যকরী উপাদান দিয়ে তৈরি হরেক রকমের ক্লিনজার রয়েছে কে-বিউটিরর ঝুড়িতে। ফোম ক্লিনজিং, অয়েল ক্লিনজিং, মেকআপ ক্লিনজিং- নিজের ত্বকের ধরণ ও প্রয়োজনীয়তা বুঝে সঠিক ক্লিনজার বেছে নিয়ে ত্বককে পরিচ্ছন্ন রাখার কাজটি খুব কঠিন বা ঝামেলার কিছু নয়।
কোরিয়ান ত্বক-বিশেষজ্ঞের ভাষায় দিনে দুইবার ত্বক পরিষ্কার করার পরামর্শ দেয়া হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে মৃদু ফোম ক্লিনজিং দিয়ে একবার, আর রাতে ঘরে ফিরে মেকআপ, ডিপ ক্লিনজিং দিয়ে আরেকবার। এভাবে খুব সহজে ত্বককে রাখা যায় ভেতর থেকে পরিষ্কার।
স্টেপ টু: পরিচ্ছন্নতা তো হলো। ত্বক এবার প্রস্তুত মূল চর্চার জন্যে।

টোনিং : ব্যবহৃত ক্লিনজার যতই মৃদু হোক না কেন, ত্বকের ভেতর থেকে ত্বককে পরিচ্ছন্ন করতে যেয়ে ত্বকের প্রাকৃতিক যে তেল (লিপিড) আছে, তা বেশ খানিকটাই ধুয়ে যায়। তাই ক্লিনজিংয়ের পর সবার আগে ত্বকের প্রাকৃতিক হাইড্রো-লিপিড সমতা ফিরিয়ে আনার জন্যে টোনার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ক্লিনজিং এর সময় ত্বকের উপরে যে চাপ তা পড়ে, তাকে মৃদু ভাবে ত্বকের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কাজ করে এই টোনার। সংবেদনশীল ত্বক থেকে ব্রণপ্রবণ ত্বক-ত্বকের ধরণ বুঝে নানান কার্যকরী ফর্মুলায় তৈরি টোনার বেছে নেয়া যায় খুব সহজে।
ময়েশ্চারাইজিং-নারিশিং : এবার ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং নিবিড় যত্নের সময়। Sodium hyaluronate, Ceramide, Niacinamide, Vitamin C, Ajulene, Ectoin এর মতো ত্বকের যত্নে অসাধারণ কার্যকরী উপাদান দিয়ে তৈরি এসেন্স বা ক্রিম ধরণের পণ্য দিয়ে ময়েশ্চারাইজিং-নারিশিং করা হয়।

সকাল কিংবা রাত, ক্লিনজিং এর পর টোনিং- ময়েশ্চারাইজিং-নারিশিং করে ত্বকের যত্ন করতে পরামর্শ দেন ত্বক-বিশেষজ্ঞরা। অনেকে রাতের ত্বক চর্চাকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে আই ক্রিম এবং স্লিপিং মাস্ক ও ব্যবহার করে থাকেন।
স্টেপ থ্রি: ইউভি প্রটেক্টর, সানস্ক্রিন বা সানব্লক। একেক জন একেক নাম চেনেন। নামের সাথে সাথে এগুলোর ফর্মুলাতে খানিক পার্থক্য তো রয়েছেই। সেদিকে না গিয়ে যেটা খুব জোর দিয়ে ত্বক বিশেষজ্ঞরা যা বলেন, তাই বলছি- এই ইউভি প্রটেক্টর নিলেন না তো ত্বকে যত ভালো প্রসাধনীই ব্যবহার করুন না কেন, কিছুই সেভাবে ফল দেবেনা। বিশেষজ্ঞের ভাষায় এটা মিস করলেন তো সব মিস করলেন।
উপর থেকে সূর্য হেসে হেসে যখন রোদ ছড়ায়, তিন ধরণের অতি বেগুনি রশ্মির ধারাও আমাদের জড়িয়ে ধরে. তার মাঝে দুই ধরণের (ইউভি অ্যান্ড ইউভি বি) অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ভেতরে ঢুকে ত্বকের প্রাকৃতিক গঠনে পরিবর্তন এনে ক্যান্সার, চামড়া কুঁচকে যাওয়া, মেছতা বা কালো তিল এমন অবাঞ্ছিত ত্বক- সমস্যার সূচনা করে।

কোরিয়ান কসমেটিক এর সম্ভারে বিশ্বের সেরা ফর্মুলায় তৈরি বিভিন্ন মাত্রার এস. পি. এফ (সান প্রোটেকটিং ফ্যাক্টর) এর ইউভি প্রটেক্টর রয়েছে, যেগুলো সাধারণত দিনের বেলা রোদে বেরুনোর আগে ময়েশ্চারাইজিং-নারিশিং ধাপের পরে লাগানো হয়ে থাকে। বেছে নেয়া পণ্যের সঠিক ব্যবহারবিধি অনুযায়ী ত্বককে রাখা যায় নিরাপদ। আর যারা মেকআপ করে থাকেন, তাদের ইউভি প্রটেক্টরের উপরে মেকআপ পরতে পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। দিন শেষে ঘরে ফিরে ক্লিনজিং করে নিতে যেন ভুল না হয়।
এতো গেলো রোজকার ত্বক চর্চার কথা। কর্মব্যস্ত জীবনের ফাঁকে সপ্তাহে একটু সুযোগ করে একবার বা দুইবার নিজেকে আধ ঘণ্টার একটা বিরতি দিয়ে একটু ধ্যান, নিজের চিন্তাগুলোকে একটু গুছিয়ে নেয়া আর সেই সুযোগে একটা শিট মাস্ক বা মডেলিং মাস্ক ত্বকের উপর লাগিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এতে জমে থাকা ক্লান্তি যেমন দূর করা যায়, ত্বকের একটু বাড়তি যত্ন নিয়ে নিজেকে ছিমছাম রাখার কাজটা একটু এগিয়ে রাখা যায় বৈকি!
খাবার নিয়ন্ত্রণ, প্রচুর পানি পান, প্রয়োজনীয় বিশ্রাম, স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ আর এমন ত্বক চর্চার নিত্যকর্মে অল্প সময়ে প্রত্যাশিত স্নিগ্ধ, ঝকঝকে, শিশিরসিক্ত ত্বক পাওয়া খুব অসম্ভব কিছু নয়।
সুখবর হচ্ছে এখন শুধু ইন্টারনেট বা ম্যাগাজিনের পাতায় নয়, কোরিয়ান কসমেটিক পাওয়া যাচ্ছে হাতের নাগালে-বাংলাদেশের ‘eMart-Bangladesh  ওয়েবসাইটে অথবা ফেসবুক পেজে । ফেইসবুক এর মাধ্যমে (https://www.facebook.com/emartbd.offcial) অনলাইনেও করতে পারেন আপনার কেনাকাটা। আর ত্বকের জন্য সেরা পণ্যটি বেছে নিতে পরামর্শ নিতে পারেন বিনামূল্যে।